[gtranslate]

বিভক্তির রাজনীতি নয়, ঐক্যের রাজনীতি চাই — মির্জা আলমগীর 


প্রাচেস্টা নিউজ প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০২৩, ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ / ১০২
বিভক্তির রাজনীতি নয়, ঐক্যের রাজনীতি চাই — মির্জা আলমগীর 

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার, অক্টোবর ২১, ২০২৩, সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভক্তির রাজনীতি চাই না, আমরা ঐক্যের রাজনীতি চাই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মুক্তি তখনই সম্ভব হবে যদি দেশের মানুষের গণতন্ত্রের মুক্তি সম্ভব হয়।’ মির্জা আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। সাম্প্রদায়িকতায় এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করা হয়। সাম্প্রদায়িকতায় এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে। ১৯৭১ সালে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলমান একসঙ্গে লড়াই করেছে, প্রাণ দিয়েছে এবং দেশ স্বাধীন করেছে।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার সময়ে আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি। ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নয় বরং সকলের জন্য গণতান্ত্রিক স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নির্মাণ করা।’ তবে সেই বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হয়নি বলে আফসোস করে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের। আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদের এই কথা বলতে হয়, আমরা যে স্বপ্ন, আশা দেখেছিলাম তা ধুলোয় মিশে গেছে। গণতন্ত্র, অধিকার হরণ করা হয়েছে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দেশে ধর্ম নিয়ে যেন কোনো বাড়াবাড়ি, সংঘাত না হয়—এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি যেন না হয়। গণতন্ত্র যদি থাকে তাহলে সেখানে সকলের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হয়। আমরা সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই করছি।’ বর্তমান রাজনৈতিক সংকট দেশের সকলের সংকট উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা শুধুমাত্র কোনো একটা নির্দিষ্ট দলের না। এই সংকট সমস্ত জাতির সংকট।’ মির্জা আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন আসলেই কেন গোলযোগ হবে? আজকে ৫২ বছর পরেও কেন আমাদের ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলতে হবে? আমরা একটা ব্যবস্থা তৈরি করেছিলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজকে শাসকগোষ্ঠী সেটাকে দূর করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই শঙ্কা আর অনিশ্চয়তা আবারও সৃষ্টি করেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।