[gtranslate]

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড: মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে বাংলাদেশ


প্রাচেস্টা নিউজ প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৬, ২০২৩, ৩:৫৯ পূর্বাহ্ণ / ১০২
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড: মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে বাংলাদেশ

মোঃ আঃ রহিম জয়, ডেক্স নিউজ
ঢাকা, ৬ এপ্রিল ২০২৩ : মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের হাফ-সেঞ্চুরিতে ঢাকা টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় লিডের পথে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত ৬৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৩১৬ রান করেছে বাংলাদেশ। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ১০২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ। সাকিব ৮৭ রানে থামলেও সেঞ্চুরি নিয়ে ১২৪ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিক। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনই ২১৪ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে দিন শেষে ২ উইকেটে ৩৪ রান করেছিলো বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮০ রানে পিছিয়ে ছিলো টাইগাররা। বাংলাদেশের তামিম ২১ ও নাজমুল হোসেন শান্ত শূন্যতে ফিরেন। ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন মোমিনুল হক। দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান মোমিনুল। কিন্তু নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দিনের তৃতীয় ওভারেই মোমিনুলকে ১৭ রানে বোল্ড করেন পেসার মার্ক অ্যাডায়ার। ৩৪ বল খেলে ৪টি চার মারেন মোমিনুল। ৪০ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে মোমিনুলের বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে চাপ মুক্ত করতে আয়ারল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন উইকেটে নতুন ব্যাটার সাকিব। মুশফিকের সাথে জুটির শুরু থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন সাকিব। এতে ৫৪ বলেই জুটিতে ৫০ রান উঠে যায়। মারমুখী ব্যাটিং অব্যাহত রেখে ৪৫ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান সাকিব। ৩১তম ওভারে ১০৯ বলে জুটিতে ১শ পূর্ণ করেন মুশফিক-সাকিব। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত জুটিতে ১শ করলেন মুশফিক ও সাকিব। জুটিতে সর্বোচ্চ পাঁচবার সেঞ্চুরি করেছেন হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমরও। সাকিব-মুশফিক ৬৫তম ইনিংসে ও হাবিবুল-জাভেদ ৩২ ইনিংসে পাঁচবার সেঞ্চুরির জুটি গড়েন। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও, সাকিবকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়ে ৬৯ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৬তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। দারুন ব্যাটিং অপরাজিত থেকেই প্রথম সেশন শেষ করেন মুশফিক ও সাকিব। বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনের সপ্তম ওভারে হতাশায় পুড়তে হয় সাকিবকে। অফ-স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাকিব। ১৪টি চারে ৯৪ বলে ৮৭ রান করেন টাইগার দলপতি। চতুর্থ উইকেটে ১৮৮ বলে ১৫৯ রান যোগ করেন সাকিব-মুশফিক। দলীয় ১৯৯ রানে সাকিবের বিদায়ে ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন লিটন দাস। উইকেটে এসেই দ্রুত রান তুলেন লিটন। সাথে রানের গতি বাড়ান মুশফিকও। ৫৬ বলে জুটিতে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তারা। ৫৫তম ওভারে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরির তুলে নেন মুশফিক। এজন্য ১৩৫ বল খেলেন মুশি। দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক তামিম ও মুশফিক। হাফ-সেঞ্চুরি সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪১ বলে ৮টি চারে ৪৩ রান করে আউট হন লিটন। মুশফিকের সাথে ৮৪ বলে ৮৭ রান যোগ করেন লিটন। লিটনের বিদায়ে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ৩শ পার করে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেন মুশফিক। ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫৯ বলে ১২৪ রানে অপরাজিত মুশি। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত আছেন মিরাজ। আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডায়ার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন ২টি করে উইকেট নেন।