

নিজস্ব প্রতিবেদক মাগুরা মহম্মদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বসতবাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,মাইক্রোবাস, ভাঙচুর ও লুটপাট এর ঘটনা ঘটেছে।উপজেলা নহাটা ইউনিয়নে গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে গত ২ জুলাই গত মঙ্গলবার রাতে নহাটা ইউপির চাকুলিয়া গ্রামে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ তৈয়েবুর রহমান তুরাপ সমার্থক ও প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান সমর্থক বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ খালিদ হোসেন টোকনের সমর্থিতদের মধ্যে চাকুলিয়া গ্রামে ঘটনার দিন সন্ধ্যারাতে উভয় পক্ষের-২জন ব্যক্তির মধ্যে একটি চায়ের দোকানে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে নহাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সমর্থিতরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ খালিদ হোসেন টোকনের সমর্থিতদের উপর হামলা চালায়।এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বসতবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।এতে দুই পক্ষের-১১ টি দোকানঘর এবং ৩০টির উর্ধ্বে বসত বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট ঘটনা ঘটে।ইউপি সদস্য মোঃ খালিদ হোসেন টোকনের চাকুলিয়া ভাটার মোড়ে অবস্থিত ব্যক্তিগত অফিস, পাশে তার বসত বাড়িত তার ভাই খোকনের ১টি মাইক্রোবাস,১টি ট্রাক্টর ও একটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের-৬ আহত হয়। আহতরা হচ্ছে ইমন শেখ(১৬), এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোছাঃ অন্তরা (১৭),আজিজুল মোল্লা (১৫), মোঃ কুদ্দুস শেখ (৭৪) মিনহাজ (১৭),পলাশ মোল্লা (২৫),আহতদেরকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মাগুরা-২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ বোরহান উল ইসলাম জানান,, সংঘর্ষের সংবাদ জানতে পেয়ে আমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আনতে সক্ষম হই।এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার অপরাধে নহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই অর্জুন কুমার দাস বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১১১জন ও অজ্ঞাতনামা আরো-১৫০ জনের নামে মামলা করেছেন।যার মামলা নং-১১তারিখ ৩/৭/২০২৪ ইং
আপনার মতামত লিখুন :