দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ
বিশেষ প্রতিনিধি।। কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বহাল তবিয়তে বসে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে।ইউপি সচিব স্বায়ত্বশাসিত। এটি সরকারি রাজস্বভুক্ত। এ পদের বেতন সরকারি রাজস্ব খাত থেকে ৭৫ ভাগ আর বাকি ২৫ ভাগ দেওয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব খাত থেকে। শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবদুস শুকুরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিলাইদহ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজ করতে সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩-৪ হাজার করে টাকা নিয়ে জন্ম নিবন্ধন করার প্রমাণ মিলেছে ইউপি সচিব আবদুস শুকুরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদেরকে ১৮ থেকে ২৪ বা তার চাইতে বেশি বছর বয়স বাড়িয়ে দিয়ে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে এই সচিব। এছাড়াও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য তার নিজের আত্মীয় মোঃ সোহেল নামে একজনকে নিয়ে এসে সচিবের পিছনে বসিয়ে ব্যাক্তিগত কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে অবৈধভাবে হাজার হাজার টাকা জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বর্তমান সচিব।এই সচিবের কাছে অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবায় নিয়োগ প্রাপ্ত দুইজন এবং ওয়েটিংয়ে থাকা একজন থাকা সত্ত্বেও মোঃ সোহেলকে ব্যাক্তিগত ভাবে বসিয়ে অবৈধ টাকার পাহাড় গড়েছে। গড়েছেন বিশাল অট্টালিকা।তার সরকারি বেতন দিয়ে এটা সম্ভব নয় বলে এলাকাবাসী জানায়। তিনি যে আলীসান বাড়ি তৈরি করেছেন সেটা দেখে মনে হবে এ যেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার জন্মস্হান। সচিবের এই সকল কর্মকাণ্ড নিয়ে ইউপি সদস্যরা প্রতিবাদ করলেও সচিব কোনো কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ আছে।সকল প্রকার দুর্নীতি করে নামে -বেনামে সম্পত্তি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন বর্তমান সচিব আব্দুস শুকুর। অনুসন্ধান রিপোর্টে আরো জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে একজন দফাদার থাকে অথচ শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মারা গেছে প্রায় ২ বছর। নিয়ম অনুযায়ী গ্রাম পুলিশকে পদোন্নত দিয়ে দফাদার বানানো এবং তাহার স্থলে একজন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেওয়া অথচ পদোন্নত দেওয়া হয় ইউপি সচিব হিসেবে।