বিপ্লব কুমার দাস। নিজস্ব প্রতিবেদক,

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ নিহত আনোয়ারুল আজীম আনার কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের অভিযোগ শুরুতে যে তৎপরতা ডিবি দেখিয়েছিল, এখন তেমনটি নেই।

বুধবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে রঘুনাথপুর বাজারে এক মানববন্ধনে ডরিন এ অভিযোগ করেন।

ডরিন বলেন, আমার বাবার হত্যার সঙ্গে জড়িত অনেকেই ধরা পড়েছে। আস্তে আস্তে তদন্তসাপেক্ষে অনেকের নাম আসছে। যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তারা বেরিয়ে আসবে। ইতোমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের গ্যাস বাবুকে ডিবি নিয়ে গেছে। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচাকেও ডিবি নিয়ে গেছে। এখন অনেক রকম কথা শুনছি, অনেক রকম চাপও নাকি আসছে।

তিনি আরও বলেন, যারা এই জঘন্য কাজটি করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। কাউকে ফাঁসানো হচ্ছে না। এই গ্যাস বাবু কার অনুসারী? কার সঙ্গে থাকে? গ্যাস বাবু আমার বাবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলেন না। তাহলে কেন সে এই হত্যায় অর্থের যোগান, ভাঙ্গায় বসে মিটিং করেছে? একজন মানুষ যখন ক্রাইম করে তখন সে নিজে করে না। কাউকে দিয়ে করায়। আমিও বিশ্বাস করি, এই গ্যাস বাবু তৃতীয় বা চতুর্থ পক্ষের হয়ে কাজ করেছে।

ডরিন বলেন, হত্যার সঙ্গে গ্যাস বাবুর কিসের সংশ্লিষ্টতা? কেন সে এগুলো করেছে? জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বড় নেতা। তাকে ছাড়ানোর জন্য চাপ আসছে। তারা জঘন্যভাবে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। তারা ভাঙ্গায় বসে ছবি আদান-প্রদান করে, আবার কালীগঞ্জ এসে আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে যায়। আমাকে এতিম করে দিয়ে আবার বলে- আমি এতিমের সাথে আছি। এ ধরনের অভিনয় করে গেল আমার সাথে!

এ সময় কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুর আলম আশরাফ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু, রাখালগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টুসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।