
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বহুল আলোচিত -সমালোচিত তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জগন্নাথপুর এর সন্তান এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জ -৩ আসনে ভোটে সূচনীয় পরাজয় বরন করে জামানত হারিয়েছেন। তাকে নিয়ে এলাকায় আলোচনা -সমালোচনার ঝড় বইছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিগত ৭ ই জানুয়ারী রোজ রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ভিআইপি আসন খ্যাত সুনামগঞ্জ -৩ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত "সোনালী আঁশ " প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জগন্নাথপুর এর সন্তান এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী মাত্র ৪ হাজার ভোট পেয়ে শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরন করেছেন। এতে করে তিনি জামানতও হারিয়েছেন। আর এই আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হাওর রত্ন খ্যাত পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। নির্বাচন কমিশন এর বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী তাঁর জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোট ( কাস্টিং ভোট) এর আট ভাগের এক ভাগ হতে অন্তত একটি ভোট বেশী পেতে হবে। এই হিসেব অনুযায়ী এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরীর জামানত রক্ষা হয়নি। জামানত রক্ষার জন্য তাঁহার প্রয়োজন ছিল ১৫ হাজার ৮ শত ৭৬ ভোট। অথচ তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ভোট। যা জামানত রক্ষার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে পদত্যাগ করে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে এলাকায় এমনকি সর্ব মহলে আলোচনা -সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন শাহীনুর পাশা চৌধুরী। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ হাট-বাজারে ও মাঠে-ঘাটে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রীক ইসলামী ঐক্যজোট যে মোর্চা গঠন করে, সেই ঐক্যজোটের একটি দল ছিল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী।এই দলের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক এর প্রার্থী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জাতীয় নেতা আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ এর কাছে পরাজয় বরন করেন তিনি। আব্দুস সামাদ আজাদ ২০০৫ সালে মৃত্যু বরন করার পর বিএনপি -জামায় জোট সরকারের আমলে উপ-নির্বাচনে শাহীনুর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জ -৩ আসনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।