বিপ্লব কুমার দাস। নিজস্ব প্রতিবেদক।
ভারতীয় রেলওয়ে দেশের সবথেকে বড় পরিবহণ ব্যবস্থা। দৈনিক কোটি কোটি মানুষ নির্ভরশীল এই রেলের উপর।এই ভারতীয় রেলের এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের সবাইকে অবাক করে। তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হলো ভারতবর্ষের রেলের ইতিহাসে এমন একটি স্টেশন রয়েছে যে স্টেশনটিকে দুটি রাজ্য ভাগ করে নিয়েছে।
দেশের দুটি আলাদা রাজ্য। দুটি রাজ্যের প্রশাসনিক কাজ সম্পূর্ণরূপে আলাদাভাবেই হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় রাজ্যদুটির স্টেশন কিন্তু একটিই। যা ভাগাভাগি করে নিয়েছে দুই রাজ্য। রাজ্য দুটি বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ আলাদা হলেও স্টেশনের কাজকর্ম কিন্তু হয় একসঙ্গে।
শুনে অবাক লাগলেও ভারতবর্ষেই রয়েছে এরকম দুটি স্টেশন। তার মধ্যে আজকের পর্বে রইল একটি স্টেশনের বর্ণনা পরবর্তী কোনো একটি পর্বে থাকবে অপর একটি স্টেশনের সম্পূর্ণ তথ্য। চলুন আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কোন সেই স্টেশন।
ভারতীয় রেলের সেই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটির নাম নবাপুর স্টেশন। মহারাষ্ট্র ও গুজরাট সীমান্তে অবস্থিত এই নবাপুর রেল স্টেশন। স্টেশনটি মাঝখান থেকে কাল্পনিক ভাবে দুই ভাগে বিভক্ত।
স্টেশনের টিকিট কাউন্টার একটি রাজ্যে আর স্টেশনমাস্টার যেখানে বসেন সেটি অন্য রাজ্যে অবস্থিত। ভারতের যেকোনও রেলস্টেশনের ক্ষেত্রে প্রধানত ৩টি ভাষায় স্টেশনের নাম লেখা থাকে। কেবল এই স্টেশনে স্টেশনের নেমপ্লেটে ৪ ভাষায় নাম লেখা আছে। হিন্দি ও ইংরাজি ছাড়াও গুজরাটি এবং মারাঠি ভাষার ব্যবহার এখানে দেখতে পাওয়া যায়।
দুটি রাজ্য হওয়ায় এই স্টেশনে একটি বিশেষ ধরনের প্ল্যাটফর্ম বেঞ্চ আছে। যেখানে যাত্রীরা বসতে পারেন। এই বেঞ্চটিও বিশেষভাবেই তৈরি করা হয়েছে। যার অর্ধেক পড়ছে গুজরাটে এবং বাকি অর্ধেক মহারাষ্ট্রে। বেঞ্চের কোন ভাগ কোন রাজ্যে পড়ছে তাও লেখা রয়েছে সেখানে।
আপনারা যারা পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে আমেদাবাদগামী ট্রেন ধরেন তারা প্রত্যেকেই এই স্টেশনের ওপর দিয়ে যান। হাওড়া থেকে ১২৮৩৪ আপ হাওড়া আমেদাবাদ এক্সপ্রেসের স্টপেজ রয়েছে এই নবাপুর স্টেশনে।
আপনার মতামত লিখুন :